۳۰ شهریور ۱۴۰۳ |۱۶ ربیع‌الاول ۱۴۴۶ | Sep 20, 2024
হানিয়ার পর সিনওয়ারকে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলে বিশেষ বাহিনী  গঠন
হামাসের সাবেক ও বর্তমান পলিটব্যুরো প্রধান শহীদ ইসমাইল হানিয়া (বামে) ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার

হাওজা / ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শাবাক বা শিন বেথ হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার জন্য একটি বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট চালু করেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলের গণমাধ্যম টিভি চ্যানেল- ১২ জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শাবাক বা শিন বেথ হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার জন্য একটি বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট চালু করেছে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, শিন বেথ ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজে বের করার কাজে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। বিগত ১১ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী এই হামাস নেতাকে হত্যা করাই এই অর্থ বরাদ্দ দেয়ার প্রধান উদ্দেশ্য।

ইসরায়েলের ১২ নম্বর টিভি চ্যানেল দাবি করেছে, গাজা যুদ্ধের শুরুতেই শিন বেথ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গোপন আস্তানা খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করে। ইউনিটটি গত ১১ মাসের বেশি সময় ধরে বিরামহীনভাবে কাজ করেও তাকে খুঁজে বের করতে পারেনি। গাজায় গণহত্যা শুরু করার সময় তেল আবিব হুমকি দিয়ে বলেছিল, তারা সিনওয়ারকে জীবিত কিংবা মৃত ধরে আনবে।

ওই ইসরায়েলি চ্যানেলটি আরো দাবি করেছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার বহু আগে থেকে মোবাইল টেলিফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন না। এর পরিবর্তে তিনি গাজার যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য অনেকগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। হামাসের কমান্ডাররা সেই নেটওয়ার্কে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মাধ্যমে সিনওয়ারের কাছে খবর পৌঁছে দেন এবং তার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন। মূলত ওই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একক নেতৃত্বে গাজা যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে।

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের এই চ্যানেলটি আরো জানিয়েছে, দখলদারদের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেথ এ পর্যন্ত একাধিকবার ইয়াহিয়া সিনওয়ারের অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু যতবারই অভিযান পরিচালিত হয়েছে ততবারই সিনওয়ার আগেভাগে তার অবস্থান ত্যাগ করে চলে গেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ মার্চ থেকে গাজা উপত্যকার নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা অভিযান শুরু করে। যুদ্ধবাজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের শুরুতে ঘোষণা করেছিলেন, হামাসকে ধ্বংস করে গাজা থেকে ইসরায়পলি পণবন্দিদের মুক্ত করে নেয়া হচ্ছে তার দু’টি প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তেল আবিব গাজায় তার ওই দুই লক্ষ্য অর্জন করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .